ফরিদপুর প্রতিনিধি ঃ
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের দক্ষিণ কালামৃধা গ্রামে চাঞ্চল্যকর লাল মিয়া হাওলাদার হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে এসেই বাদীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতঘর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে । পরে রাতেই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছলে তারা সরে পড়ে। নিহতের পুত্র মামলার বাদী মেহেদী হাওলাদার বলেন,গত ১০ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলার ৯ আসামরি মধ্যে প্রধান আসামীসহ বেশীর ভাগ আসামীই উচ্চ আদালত হতে জামিনে আসে। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন,হত্যার মাত্র দেড় মাসের মধ্যে জামিনে এসেই আসামীরা মামলা তুলে নেবার হুমকি দেয়।
ঘটনার দিন গভীর রাতে সংঘবদ্বভাবে আসামীরা বাদী পরিবারের বাড়ি-ঘরে ব্যাপক হামলা চালিয়ে তান্ডব চালায়। এ সময় তারা বিস্ফোরক দিয়ে বিকট শব্দ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে।
নিহতের ভাই সোহেল হাওলাদার বলেন,গভীর রাতে বাড়ী-ঘরে ভাংচুরের শব্দে আমরা ঘুম থেকে জেগে দেখি আসামীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ী-ঘর ভাংচুর করছে এবং মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।
নিহতের স্ত্রী সালমা বেগম সাংবাদিকদের কাছে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি স্বামী হত্যার বিচার দাবী করে বলেন,রাতে হামলার ঘটনায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পরিবারের আরেক সদস্য হেলেনা বেগম বলেন,অন্য একটি ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় হামলার ঘটনায় চরম আতংকিত হয়ে পড়ি। পরে পুলিশ আসার পর আমরা ঘর থেকে বের হই। প্রতিবেশী গোলাম মোড়ল,ইব্রাহিম হাওলাদার বলেন গভীর রাতে চিৎকার শুনে নিহত লাল মিয়া হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে দেখি বসত-ঘর ভাংচুর চালানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার এস.আই আবুল কালাম আজাদ বলেন,খবর পেয়ে রাতেই পরিবারটির বাড়িতে গিয়ে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করি। এ ঘটনায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্বে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য যে,গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ইং তারিখে একই গ্রামের সুজন হাওলাদারসহ আসামীরা উপর্যুপরি পিটিয়ে লাল মিয়া হাওলাদারকে হত্যা করে। এ ঘটনায় সুজন হাওলাদার সহ ৯ জনকে আসামী করে ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এতে লিল চাদ নামক ১ আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
নাজিম বকাউল , ফরিদপুর
১৫-০২-২১