বেশকিছু অনলাইন পোর্টাল পুরনো নিউজ নতুন করে প্রচার করছে সপ্রতিক।অথচ ঘটনা টি ০১ মে ২০১৪ সালের। সেই পুরানো নিউজ টি আপনি চাইলে পড়তে পারেন সমাকাল পত্রিকায় ছাপানো।
ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের স্ত্রী মুনতারিন মুজিব চৌধুরীর (৩৩) মৃত্যু ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে গুলশানে বাসার চারতলার বারান্দা থেকে পড়ে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে ইউনাইটেডহাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তবে ভিন্নমতও রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর এমপি নিক্সন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।
গুলশান-২ নম্বর সেকশনের ৭৬ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলায় এ-৪ নম্বর ফ্ল্যাটে স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে থাকতেন মুনতারিন। ওই বাসার নিরাপত্তাকর্মী মো. মাসুদ বুধবার সমকালকে জানান, ঘটনার সময় অন্য নিরাপত্তাকর্মী দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে ভবন থেকে পড়ে মুনতারিনের মৃত্যুর খবর তিনি শুনেছেন। এখন এমপি নিক্সন অসুস্থ।
পারিবারিক বন্ধু পরিচয়ে একজন এসে সাংবাদিকদের বলেন, রাত পৌনে ৯টার দিকে চতুর্থ তলার বারান্দায় টবে গাছের পরিচর্যা করছিলেন মুনতারিন। এ সময় তার সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণী পড়ূয়া মেয়ে ও একজন গৃহকর্মী ছিল। তখন ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছিল। বারান্দায় রেলিং ছিল না। ঝড়ে হঠাৎ তিনি বারান্দা থেকে নিচে পড়ে যান। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। নিক্সনের এই বন্ধু তার নাম বলতে রাজি হননি।
পারিবারিক বন্ধুর বক্তব্যের উল্টো কথা বলেছেন নিক্সনের সহকারী একান্ত সচিব কাওসার হোসেন। তিনি বলেন, মুনতারিন মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মুনতারিনের মৃত্যু নিয়ে ভিন্ন কথা বলেছেন নিক্সনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা খন্দকার জাহিদুর রহমান। তিনি বলেন, ছয়তলা বাসার ছাদ থেকে পা পিছলে পড়ে যান মুনতারিন। তবে নিক্সন পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র স্বামী-স্ত্রীর কলহের এক পর্যায়ে মুনতারিন বহুতল ভবন থেকে লাফ দিয়েছেন বলে বলা হয়েছে।
ইউনাইটেড হাসপাতালের প্রশাসন শাখার কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিনহাজ জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে মুনতারিনকে ভর্তি করা হয়। অসুস্থতার ধরন সম্পর্কে বলা হয়েছে, মাল্টিপল ইনজুরি, ফল ফ্রম হাইট (উঁচু স্থান থেকে পতনের কারণে একাধিক আঘাত)। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫১ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের প্রশাসন ও নিরাপত্তা শাখার ব্যবস্থাপক মেজর (অব.) মইনুল হোসেন বলেন, ‘মৃত্যুর কারণ আমরা বলতে পারব না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে।’
গুলশান থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এমপিপত্নীর মৃত্যু বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি। ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে অবহিত করেছে। এখন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে কি-না এর সিদ্ধান্ত হয়নি বলে পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
মুনতারিনের লাশ ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মুনতারিনের মা ও বাবা কানাডা থেকে ফেরার পর তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এদিকে মুনতারিনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হলেও গতকাল রাত পর্যন্ত ঘটনাস্থলে যায়নি পুলিশ। এ প্রসঙ্গে ওসি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ না করায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি। তার বাবা-মা দেশে ফিরলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। সূত্র
https://samakal. com/bangladesh/article/140556465/এমপি-নিক্সনের-স্ত্রীর-মৃত্যু-ঘিরে-রহস্য