মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আরো কঠোর হতে যাচ্ছে সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে ঘরের বাইরে মাস্ক ছাড়া বের হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি কারাদণ্ডও দেয়া হবে।
আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সকলের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের শক্ত অবস্থানে যাওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখন থেকে সর্বোচ্চ জরিমানা করা হবে। তারপরও যদি কেউ মাস্ক না পরে, তাহলে কারাদণ্ড দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অক্সফোর্ডের তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ সরকার। গত ১৪ অক্টোবর এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর ৫ নভেম্বর ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
গত ১৬ নভেম্বর অর্থ বিভাগ ভ্যাকসিন কেনার জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে এবং ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’
ভ্যাকসিন কারা আগে পাবেন, এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী প্রথম কারা পাবে, দ্বিতীয় ধাপে কারা পাবে, সে ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটা প্রোগ্রাম ডেভেলপ করছে। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার, পুলিশ, মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের লোক, এরপর বয়স্ক মানুষ ও শিশুরা পাবে।
জনগণকে এ ভ্যাকসিন বিনা পয়সায় দেয়া হবে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সম্পূর্ণ খরচই সরকার বহন করছে। তাই ভ্যাকসিন বিতরণ নিয়ে কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।